হুমায়ূন রশিদ :
টেকনাফ উপজেলার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান হ্নীলা গুলফরাজ-হাশেম ফাউন্ডেশন পরিচালিত ২৩তম আন্তঃউপজেলা জিএইচএফ বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৩ইং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপজেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিকের ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের রেজিষ্ট্রেশনকৃত ৫শ ৪৬জন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ৪শ ৮৬জন পরীক্ষার্থী এই বারের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ-গ্রহণ করেছে।
১৫ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টায় হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলার ১৩টি নিম্ম মাধ্যমিক স্কুলের রেজিষ্ট্রেশনকৃত ১শ ২৭জনের মধ্যে ১শ ২জন, ৯টি মাদ্রাসার রেজিষ্ট্রেশনকৃত ৩৮জনের মধ্যে ৩৫জন, প্রাথমিক বা এবতেদায়ী স্তরে ২৫টি প্রাইমারী স্কুলের রেজিষ্ট্রেশনকৃত ২শ ১৩জনের মধ্যে ১শ ৯১জন এবং ১৯টি এবতেদায়ী মাদ্রাসার রেজিষ্ট্রেশনকৃত ১শ ৬৮জনের মধ্যে ১শ ৫৮জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ-গ্রহণ করেছে। এতে মোট পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল ৬০জন। পরীক্ষায় হল গার্ড হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
বৃত্তি পরীক্ষায় হল সুপারের দায়িত্ব পালন করেন গুহাফা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সাবেক শিক্ষক মাওলানা এসএম সাইফুল্লাহ, কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আব্দুস সালাম।
সোয়া ২ঘন্টাব্যাপী চলা উক্ত বৃত্তি পরীক্ষায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোরশেদ। মাহবুব মোরশেদের কঠোর নির্দেশনায় কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা ও পরীক্ষার্থীদের নানাবিধ সহায়তায় কাজ করেন গুহাফা পরিচালনা কমিটির সদস্য সাবেক মেম্বার ছালেহ আহমদ, মাষ্টার শাহ আলম, কাইছার উদ্দিন আহমদ, মাওলানা শাকের আহমদ, আয়াজ উদ্দিন, মমতাজুল ইসলাম মনু, মোঃ আরিফ বাপ্পী, মোহাম্মদ ইউছুপ, হ্নীলা হাইস্কুলের পক্ষ হতে হেলাল উদ্দিন ও শাহেদুর রহমান খান প্রমুখ। পরীক্ষা গ্রহণ শেষে খাতা নিরীক্ষা শেষ হলেই এই বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য,টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ফুলের ডেইল গ্রামের মরহুম মাওলানা আবুল হাশেমের পুত্র ও বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জামাল আহমদ স্বাস্থ্য সেবা এবং শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে থাকা এলাকার মানুষের জন্য স্বেচ্ছাসেবী ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে গুলফরাজ-হাশেম ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠান এখন পুরো উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার পথ সুগম করার লক্ষ্যে পুরো উপজেলা ব্যাপী বৃত্তি চালু করেন। এছাড়া শিক্ষিত সম্ভাবনাময় জনগোষ্ঠীকে সম্পদে পরিণত করে তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান সম্পন্ন যুগোপযোগী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করেছে। ####
পাঠকের মতামত